"হাজার বছরের অব্যক্ত শয়তান"

চার দিকে অন্ধকার ক্রমশই অন্ধকার আরও ঘন এবং গভীর হরে উঠেছে।
শরীরের শিরা উপশিরা গুলো মহাকাল যেনো গ্রাস করে চিচ্ছে।দম বন্ধ হয়ে আসছে।গলা ফাটিয়ে চিতকার দিতে ইচ্ছে হচ্ছে, কিন্তু কেউ একজন সজোরে গলা চেপে ধরেছে।
আন্ধকার ভেদ করে বহু পরিচিত একটি কন্ঠ ভেসে আসছে।বার বার কে জেনো আওরে যাচ্ছে , “নির্ঝর”অনেকটা কাছে চলে এসেছ তুমি, আর মাত্র দুটি ধাপ।আমি হাত বাড়িয়ে আছি, তুমি এসে পড়ো আমার কাছে”
হঠাৎ চোখ খুলে গেলো আমার।
“ ফোন বাজছে”
“কিন্তু এতো সকালে”
“হ্যালো কে? “
ফোনের ওপাশ থেকে, স্যার আমি বিল্লু’
“কিরে এতো সকালে ফোন দিয়েছিস কেনো?”
“স্যার কথা কম কইয়া তারা তারি রেডি হইয়া বের হইয়া পরেন।”
“ আরে বাবা বুজলাম, কিন্তু বের হইয়া যাবো টা কোথায়? “
“ স্যার সোজা মহাখালী গিয়ে এনা বাসের টিকিট কেটে ময়মনসিংহ রওনা দেন” বিল্লু খুব জোর দিয়ে কথা গুলো বলছে।
“আচ্ছা ঠিক আছে। তবে তুই কোথায়? আর ময়মনসিংহ গিয়ে কি করবো?”
বিল্লু,” স্যার এই সব বালের প্যাঁচাল বন্ধ করুন।আগে আসেন,তারপর সব বলছি।আর আমার নাম্বারে ৩০০০টাকা বিকাশ করেন, পকেট একদম ফাঁকা।”
ঠিক আছে আমি বের হইতেছি।আর প্লিজ তোর মুখের ভাষাটা একটু ঠিক কর।
“Afrer All, I am your Boss!”
ওকে,”ভাইবা দেখমুনে, আপনি তাড়া তাড়ি বের হন।”
ঘড়িটার দিকে চোখ দিলাম। সাড়ে ৭টা বেজে গেছে। এখন-ই বিছানা থেকে উঠতে হবে।
ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় মনে পড়লো, একটা ফোন করতে হবে।
"হ্যালো মাসুদ।”
“ জি স্যার বলেন, ট্যাক্সি নিয়ে কি আপ্নার বাসার সামনে আসবো?” কোনো কিছু বলার আগেই মাসুদ বলে দিলো।
আচ্ছা তবে খুব দ্রুত চলে আসো, হাতে সময় খুব কম।
ফোন রেখে ওয়াশরুমের দরজা খুলতেই আয়নায় নিজের চেহারা দেখে কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিছু প্রশ্ন মনকে খোচা মারতে শুরু করে।
“আমি কে?
আমি কি পাগল?
কিসের পিছনে ছুটছি?
যার পিছিনে দৌড়াচ্ছি আদও কি তার অস্তিত্ব আছে?”
এসব ভাবতে ভাবতে আমার ফোন বেজে উঠল।ফোনের স্ক্রিনে বিল্লুর নাম ভেসে উঠেছে।
ফোনটা কেটে দিলাম, জানি এখন ফোন ধরলে যদি জানতে পারে এখানে বের হইনি,তাহলে আবার মুখ খারাপ করা শুরু করে দিবে।
ওয়াশ্রুম থেকে বেরিয়ে চট করে শার্ট-প্যান্ট পরে নিলাম।ব্যাগের চেইন লাগাতেই , বাড়ির নিচে মাসুদের টেক্সির হর্ন।
মাসুদ,” স্যার আইসা পরছি,তাড়াতাড়ি নামেন।”
রুমটা লক করে নিচে নেমে আসলাম।
মাসুদ, স্যার কোথায় যেতে হবে?”
ট্যাক্সিতে উঠে মাসুদ-কে বললাম সোজা মহাখালী, যত দ্রুত পসিবল।
মাসুদ, “আচ্ছা স্যার”।
ট্যাক্সি স্টার্ট দিলো মাসুদ।
“মাসুদ” যে আমার ১ মাসে পার্সনাল ট্যাক্সি ড্রাইভার।
বছরে ১২ মাসের মধ্যে ডিসেম্বর মাসটা আমি ছুটি কাটাই। আসলে ছুটি কাটানো বল্লে ভুল হবে।মেইনস্ট্রিম কাজ থেকে বিরত থাকি।
হঠাৎ “মাসুদ” বলে উঠল, “ স্যার এতো যায়গা থাকতে এই চিপায় বাসা নিলেন কেনো?”
তুমি -তো যানো আমি ক্রাইম রিপোর্টার। শত্রুর অভাব নেই।প্রতিমাসেই বাসা চেঞ্জ করতে হয়।তা এবার ঘুরে ঘুরে পুরান ঢাকার “পাকিস্তান মাঠ” এর পাশেই বাসা নিলাম।দেখা যাক কতো দিন থাকা যায়।
মাসুদ, একটু হেসে জবাব দিলো “স্যার , এলাকার নামটা কিন্তু চরম “
“ হুম , সেটাই।”
“ স্যার, এতো সকালে মহাখালী কি করতে! কোন ইম্পর্টেন্ট কাজ?”
“ আছে একটু ঢাকার বাহিরে যেতে হবে।”আমি মনে মনে বললাম। আমার জিবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।যে কাজের তাড়নায় আমার মগজ উত্তপ্ত কিংবা উম্মাদ হয়ে আছে বহুকাল ধরে।
“ স্যার চলে এসেছি”
আচ্ছা, শুনো মাসুদ, দেখো তোমার মোবাইলে একটা নাম্বার টেক্সট করেছি।ওই নাম্বারে ৩হাজার টাকা বিকাশ করে দিও খুব দ্রুত।
আর ফোন সবসময় খোলা রাখবা।আমি ঢাকা এসেই ফোন দিবো।
কাউন্টার থেকে টিকেট কাটলাম ১৩ নাম্বার গাড়ি। গাড়ির সিরিয়াল আসতে এখানো ৫মিনিট বাকি।
বাস স্টেন্ড থেকে পানির বোতল আর কিছু খাবার কিনে নিলাম।দাঁড়িয়ে আছি আর আশে পাশে ছুটে চলা মানুষদের দেখছি।কি অসম্ভব ব্যাস্ত তারা,আবশ্য আমারও একি অবস্থা। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি কি বেচে আছি?
নাকি মৃত্যুর পরের জিবনে আছি।
এসব ঘোরার আন্ডা ভাবতে ভাবতে বাস চকে এলো। উঠে বসলাম।সিটটা খুব ভালোই পড়েছে।
সিটে বস্তেই “বিল্লুর” ফোন।
“ স্যার গাড়িতে উঠছেন? “
“ হুম, মাত্র উঠলাম,তুই টাকা পেয়েছিস?”
“ বিল্লু , জি স্যার।
স্যার ,আমি মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডের পাশের একটি হোটেলে আছি।
আপনি এসে একটা ফোন দিয়েন।
“আচ্ছা ঠিক আছে”বলে ফোন কেতে দিলাম আমি।
কিছুক্ষণ পারেই বাস ছেড়ে দিলো।মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।সারাটা জীবন মনে হয় এভাবেই ছুটতে হবে।বিল্লি না থাকলে কাজটা আরও কঠিক হয়ে যেতো।
সেই ২০১৩ সালের কথা ,যখন শাহাবাগ উত্তাল রাজাকারের ফাসির দাবিতে। এই আন্দোলনের সুত্র ধরে বিল্লুর সাথে আমার পরিচয়। বিল্লু ছিলো প্রথম সারির নেতা।পরে আন্দোলনের মোর ভিন্ন খাতে ট্রান করেছে টের পেয়ে সব কিছু ত্যাগ করে।
প্রচন্ড ট্যালেন্টেড বস্তবাদী ছেলে।ঝামেলাএকটাই অতি মাত্রায় মুখ খারাপ।
তাছাড়া অনলাইনে লেখা লেখির কারনে মোল্লাদের তোপের মুখে পরে যায়।এদিকে নৈতিক কারনে আন্দোলন থেকে সরে আসা। সব মিলিয়ে প্রচন্ড বিপদে পাড়ে যায় বিল্লু।
সব কিছু বিল্লু আমাকে জানায়।এদিকে আমিও মনে মনে একটা আর্দশ লোক খুজছিলাম, আমার এক বিষেশ কাজ সম্পাদন করার জন্য, ব্যাস চট করে অকে এসিস্ট্যান্ট বানিয়ে নিলাম।
সেই থেকে দীর্ঘ ৪-৫ বছর আমার সাথেই।
কিন্তু, যেই কাজের জন্য বিল্লুকে রেখেছি, তার কোন কুল কিনারা হয়নি এ যাবত।তবুও ছেলেটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আবার ফোনটা বেজে উঠলো। নিশ্চয়ই বিল্লুর ফোন।হ্যাঁ, যা ভেবেছি।আসলে বিল্লু আর অফিসের কলিগ ছাড়া আর কেউ ফোন দেওয়ার মতো নেই।ফোনটা রিসিভ করতেই, “স্যার আর কতো দুর?” বিল্লু ওপাশ থেকে।
“এইতো ত্রিশাল পার হয়েছি”
বিল্লু “ওকে স্যার আমি বাসস্ট্যান্ডে আছি”
চোখ দুইটা লেগে আসছে। হঠাৎ বাসের কন্টাক্টর এসে ধাক্কা মেরে বললেন,
“ ওই মিয়া বাস থেকে নামবেন না! যতসব,বাসের মধ্যে ঘুমায় হুম থাকে নাহ”
বাস থেকে নামতেই বিল্লু এসে হাজির। বিল্লু "স্যার আসেন সামনেই গাড়ি ঠিক করে রাখছি।
ওকে চল।
“ কোথায় উঠেছিস তুই বিল্লু”
“ স্যার চরম একটা হোটেলে উঠেছি। এই মনে করেন এক টিকেটে দুই ছবি”।
কিছুই বুঝলামনা বিল্লুর কথায়।বিল্লু অটোতে উঠে বললো , “মামা, গাজ্ঞিনা পাড়,নাজমা বোডিং”
অটো চালক বিল্লুর কথা শুনে মুচকি মুচকি হাসি দিলো।তবে আমি এ হাসির রহস্য ১৫ মিনিট পরে বুজতে পারলাম।
যখন দেখলাম নাজমা বোডিং এর অপর পাশে সাইনবোর্ড এ লেখা,
“নিরাপদ যৌন জীবনের জন্য,
কন্ডম ব্যবহার করুন”
রাগে পায়ের রগ মাথায় উঠে গেল।কিন্তু খানিক পরেই একটু ভেবে দেখলাম,বিল্লুর কাছ থেকে, এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না।যাই হোক বিল্লুর পিছু পিছু হোটেলে প্রবেশ করলাম।প্রবেশ করতেই,বিল্লু ম্যানেজারের কেছে গিয়ে আমার নাম এন্ট্রি করে নিলো।
বিল্লু “ স্যার আসেন আমাদের রুম ৩তলায়,আর যত আকাম কুকাম হয় সব ২ তলায়।চিন্তার কোন কারণ নেই”
“আচ্ছা তুই কি আর হোটেল পেলি না?”
বিল্লু, "স্যার এটা কম খরচে পাইয়া গেলাম, মাত্র ১০০টাকা ভাড়া।
পকেটে টাকাও ছিলো না।আর স্যার,মাত্র এক রাতেইতো ব্যাপার “।
ঘড়ির কাটায় দুপুর ৩.১৩।
শরীরটা খুব-ই ক্লান্ত। রুমে ঢুকেই আমি গোসল সেরে নিলাম।
ওদিকে বিল্লু, রুমে ঢুকেই শুয়ে পরেছে।গোসল করার কথা ওরে বলে লাভ নেই।কবে শেষ গোসল করেছে একমাত্র খোদাই জানে।মনে অনেক প্রশ্ন জমে আছে।কিন্তু,সবার আগে খেতে হবে।
“বিল্লু ,খাওয়া দাওয়ার কি ব্যবস্থা?”
"স্যার ,রুমে খাইবেন নাকি বাহিরে?
“না-রে,বাইরে আর যেতে ইচ্ছে করছে না,তুই রুমেই নিয়ে আয়।”
বলার সাথে সাথে-ই বিল্লু লাফ দিয়ে খাবার আনতে চলে গেলো।
মাথায় হাজার খানেক প্রশ্ন ঘুরপাক করছে।হঠাৎ বিল্লু এই খানে নিয়ে আসলো কেনো? তবে কি,সঠিক লোকের খোজ পেয়ে গিয়েছে?
এসব হাবিজাবি কথা চিন্তা করতে করতেই বিল্লু এসে হাজির খাবার নিয়ে।এবার বিল্লু একা নয়,সাথে একটা ১৪-১৫ বছরের বাচ্চা।
বাচ্চাটির হাতে প্লেট-পানির বোতল। বিল্লু বাচ্চাটিকে ২০টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিলো।
“বিল্লু ভাই,কোন কিছু লাগলে বইলেন” কথাটি বলেই হাসি মুখে বাচ্চা ছেলেটি চলে গেলো।
বিল্লু,খাবারে প্যাকেট খুলে সব কিছু সাজিয়ে নিলো।
আমি বিল্লুকে বললাম,” কি এনেছিস?”
"স্যার ,শুটকি আর গরুর মাংস ভুলা”
প্রতি উত্তর না দিয়েই খেতে বসে গেলাম।যে পরিমাণ খুদা লাগছে,
তাতে এতো ভাবা ভাবির টাইম নাই।খেতে খেতে বিল্লুকে জিজ্ঞাসা করলাম, বিল্লু,এবার খুলে বল সব কাহিনী?
"স্যার, আগে খাওয়া শেষ করেন, তারপর সব বলছি।”
কিছুক্ষনের মধ্যে খাওয়া শেষ হয়ে গেলো। মাথাটা বালিশে লাগাতেই চোখ দুটো লেগে আসছিলো। বিল্লু-ও আমার পাশে শুয়ে পরেছে।
ঘড়ির কাটায় এখন ৪.১৩। হঠাৎ বিল্লুর ফোন বেজে উঠল।
হ্যা” মনু মিয়া বলুন।
ওপাশ থেকে কি কথা হচ্ছে তা বোঝা গেলো না।
"বিল্লু বললো, শোন মনু মিয়া টাকা পয়সা নিয়া চিন্তা কইরো না।কাজটা যেনো ঠিক মতো হয়।আর কাল আমরা ১২টার মধ্যে চলে আসবো।
এই কথা বলে বিল্লু ফোন কেটে দিলো।
বিল্লু মনু মিয়া কে?
"স্যার মনু মিয়া হইলো এইখান কার সবচেয়ে নামকরা তান্ত্রিকের সামি।তার বউয়ের নাকি সরাসরি শয়তানের সাথে যোযোগাযোগ এবং জিন্দের শহরে যাতায়াত ও আছে।”
“জাস্ট গ্রেট বিল্লু”
তাহলে কি এবার সত্যিই আমার ইচ্ছা পুরন হতে যাচ্ছে!
“পুরন হইবতকি হইবো না তা কাল সকালে দ্যাহন যাইব।
স্যার এখন ঘুম দেন রাতে কথা হবে।
এই কথা বলে বিল্লু চোখ বন্ধ করে ফেললো।
আমার মাথা কিছুতেই শীতল হচ্ছে না।শুধু মনে হচ্ছে সকাল কখন হবে।
এসব ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে গেলাম।
হঠাৎ আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো। প্রথমে মনে করেছি মাগরিবের আজান। কিন্তু ঘড়ির টাইম দেখে কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম।কারণ এশার আযান দিচ্ছে।বিল্লু এখনো মরার মতো ঘুমাচ্ছে। বিল্লুকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে তুল্লাম।
“বিল্লু,চল বাহিরে থেকে চা খেয়ে আসি”
কিছুক্ষণের মধ্যে বিল্লু আর আমি রেডি হয়ে নিচে গেলাম।ময়মনসিংহ শহরটা বেশ জমজমাট। এখানে আগে আশা হয় নি।এই জেলার নাম শুনলেই কেমন যেনো ক্ষ্যাত ক্ষ্যাত লাগতো। কিন্তু এখানকার বাস্তব চিত্র পুরোপুরি উল্টো।
বিল্লু আর আমি একটা চায়ের দোকানে গিয়ে বসলাম।বিল্লু একটা সিগারেট ধরালো।সিগারেট দুই টান মেরেই বিল্লুর জ্ঞান দেওয়া শুরু।
"স্যার ,আপনে কিভাবে ক্রাইম রিপোর্টার হলেন?
কেন সমস্যা কি।
না মানে "স্যার আপনি ক্রাইম রিপোর্টার কিন্তু সিগারেট খান না,জিনিসটা আসলে যায় নাহ।
“এসব ফালতু কথা রেখে এবার বল এই ওঝা বা তান্ত্রিক দিয়ে কাজ হবে তো।
বিল্লু কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বললো!
"স্যার ,আমি এবার ৯০% সিউর কাজ হবে।”
আর ১০% গেলো কই?
“ইয়ে মানে স্যার এই ১০% আমার ব্যাব্যাক্তিগত চিন্তা।কারণ, জিন - শয়তান এই সব বাল সাল বলতে কিছু নাই।
“ও আচ্ছা তাই। তুই কিভাবে জানলি এই সব নেই।
দাঁত ৩২ পাটি বের করে বিল্লু উওর দিলো ,”ঠিক আপনি যেই ভাবে জেনেছেন যে জিন কিংবা শয়তান আছে।”
চায়ের শেষ চুমুকটা দিয়ে বিল্লুকে বললাম, “ওকে ,এখন আসব আলোচনা বাদ দে।চল সাইডের দোকান থেকে দুই জন বিরিয়ানি খেয়ে নেই।এর পর রাতে রুমে গিয়ে এইসব আলোচনা হবে।
বিল্লু চলেন তাইলে যাওয়া যাক।শুনেছি ভুতের নাকি এসব খাবার পছন্দ , হা হা হা।
সব কিছু নিয়ে হাসতে নেই। আজ যেটা হাস্যকর কালসেটা চিন্তার বিষয় হতে পারে।
বিরিয়ানির দোদোকানে ঢুকে গেলাম।খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।তারপর দুইজন পান চিবাইতে চিবাইতে হোটেলের দিকে রওনা হইলাম।পান খাওয়ার কোন ইচ্ছাই ছিলো না আমার বিল্লু জোর করে মুখে ঢুকিয়ে দিয়েছে।পুরো মুখটাই নস্ট হরে গেলো। কিছুক্ষণ পরে, রুমে চলে এলাম দুইজন। ফ্রেশ হয়ে দুইজন শুয়ে পরলাম।
“বিল্লু”
“জি ,স্যার বলেন?”
“কয়টা বাজে দেখ তো”
"স্যার ১১.৩০”
আচ্ছা, বিল্লু জিন-শয়তান এগুলো কি সত্যি-ই নেই?
“কোন, ভাবেই পসিবল না স্যার”
তাহলে এই যে মানুষকে ভুতে ধরে, আর ওইজা বোর্ড এর ব্যাপারটা-বা কী? আমি অনেক কে দেখেছি আত্মা হাজির করেছে এভাবে।
“আমার বাল হাজির করছে।এই “ওইজা বোর্ড” -বাল ছালরে বিজ্ঞানের ভাষায়,
ইডিওমোটর এফেক্ট বলে।
ব্যাপারটা একটু খুলে বল বিল্লু।
“ওকে, স্যার তার আগে একটা বিরি ধরাইয়া লই। ধোয়া মগজে না গেলে আমার মাথা খুলে না।
এই বলে বিল্লু সিগারেট ধরিয়ে টান মারতে মারতে বলতে শুরু করলো।
"স্যার ,তবে শুনেন নাই এই ওইজা বোর্ড এর ভাওতাবাজি।
এই ওইজা বোর্ড মৃত আত্মাদের হাজির করার সবচেয়ে সহজ প্রসেস, এই পদ্ধতি অনেক পুরাতন হলেও, ১৮৪০কিংবা ১৮৫০ সালের দিকে ইহা খুব
0 Comments